পৃষ্ঠাসমূহ

সোমবার, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৫

আজ রাত ৯টা ৩৭ মিনিট পর্যন্ত সুপার মুনের দেখা মিলবে।

২৭ সেপ্টেম্বর আশ্বিনী পূর্ণিমা।একইসাথে আজ সুপারমুন। গোধূলির সময়টা কেটে গেলেই আকাশে দেখা মিলবে ব্লাডমুন কিংবা রক্তিম চাঁদের।  পৃথিবীতে ৩০ বছর পর বিরল এই ঘটনা ঘটতে চলেছে। মর্ত্যের মানুষের কাছে কল্পলোকের চাঁদ আরো স্পষ্ট হয়ে ধরা দেওয়ার সুযোগ করে দিয়েছে চাঁদ নিজেই! আজ দেখা মিলবে সুপার মুন বা অতিকায় চাঁদের। এর রং হবে রক্তলাল। চাঁদ যখন তার স্বাভাবিক অক্ষ থেকে কিছুটা সরে এসে পৃথিবীর কাছাকাছি অবস্থান করে তখন আকাশে ‍সুপারমুন দেখা যায়। এ সময় চাঁদ স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি উজ্জ্বল ও বড় দেখায়। তবে চাঁদের এ আকার খুব স্বল্প সময়ের জন্য স্থায়ী হয়। আজ ২৭ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের সময় সন্ধ্যা ৭টা ৪১ থেকে রাত ৯টা ৩৭ মিনিট পর্যন্ত স্থায়ী হবে।  উত্তর আমেরিকা, দক্ষিণ আমেরিকা, আটলান্টিক মহাসাগর, গ্রিনল্যান্ড, ইউরোপ, আফ্রিকা, ও মধ্যপ্রাচ্য থেকে এই উত্তেজনাকর মুহূর্ত অবলোকন করা যাবে। পৃথিবীর সব জায়গা থেকে এই ঘটনা দেখা যাবে না। বাংলাদেশসহ এশিয়ার দর্শকরা চাঁদের এ দুর্লভ দৃশ্য দেখতে বঞ্চিত হবেন। এসময় পূর্ণ চন্দ্র গ্রহণ ঢেকে দেবে চাঁদের আকাশকে। প্রাকৃতিক বিস্ময়কর ও বিরল ৭২ মিনিটের এই ঘটনা উপভোগ করতে যারা ব্যর্থ হবেন, তাদের দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হবে।এই  অনন্য ঘটনা ২০৩৩ সালে ফের ঘটবে। এর আগে এরকম দৈত্যাকায় রক্তিম পূর্ণ-চন্দ্রগ্রহণের ঘটনা ঘটেছিল ১৯৮২ সালে। গত একশো বছরে এই সুযোগ পাওয়া গিয়েছিলো মাত্র পাঁচ বার। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মহাকাশ গবেষণাকারী প্রতিষ্ঠান নাসার ওয়বসাইটে এ সংক্রান্ত বিস্তারিত খবর প্রকাশ করেছে। এই বিরল ঘটনাকে স্মরণীয় করে রাখতে নাসার পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে । ঘটনাটি নাসা টিভি লাইভ-ফিড সম্প্রচার করবে। প্রতি মাসেই চাঁদ তাঁর উপবৃত্তাকার কক্ষপথে প্রদক্ষিণ করতে করতে পৃথিবীর কাছাকাছি চলে আসে। কিন্ত, পূর্ণ-চাঁদ হয়ে পৃথিবীর কাছে আসা নি:সন্দেহে বিরল  ঘটনা। এই দিনে চাঁদ তাঁর প্রকৃত পরিধি অপেক্ষা ১৪ শতাংশ বড় হয়ে আমাদের কাছে দেখা দেবে।

শুক্রবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৫

সৌদি আরবের মিনাতে কেন বার বার দুর্ঘটনা?

সৌদি আরবের মক্কা থেকে তিন মাইল দুরে মিনাতে প্রতিবছর লক্ষ লক্ষ হাজিরা হজ্জের সময় শয়তানের উদ্দেশ্যে প্রতীকী রীতি অনুযায়ী পাথর ছুড়তে যান। ইতিহাস ঘাঁটলে দেখা যায় এই স্থানটিতেই সবচেয়ে বেশি হাজিদের হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। আজ বৃহস্পতিবার সকালেও জামারাতে ২০৩ ও ২২৩ নম্বর সড়কের মোড়ে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে। এর পরেই প্রশ্ন উঠছে কেন বার বার এক জায়গায় দুর্ঘটনা ঘটছে। হজ্জের রীতির মধ্যে এই একটি সময় নির্দিষ্ট স্থানে হাজিদের পাথর নিক্ষেপ করতে হয়। প্রায় পাঁচতলা উঁচু এই জায়গায় উঠে পাথর নিক্ষেপ করে আবার হেটে ঐ স্থান ত্যাগ করতে হয়। সৌদি আরবের বেসামরিক প্রতিরক্ষা বিভাগের আজ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে ২০৩ ও ২২৩ নম্বর সড়কের সংযোগ স্থলে মানুষের চাপ বেড়ে গেলে হতাহতের ঘটনা ঘটে। তবে এর আগেও ২০০৬ সালে মিনায় পাথর ছোড়ার সময় ৩৬৪ জন নিহত হন। যেহেতু সব হাজিদের এখানে আসতে হয় সেজন্য সৌদি কর্তৃপক্ষ অবকাঠামো উন্নতি করেছে।

বৃহস্পতিবার, ১৩ আগস্ট, ২০১৫

শহীদ আবদুল মালেক প্রেরনার এক সুউজ্জ্বল বাতিঘর...


আগামী ১৫ই আগষ্ট আন্দোলনের অগ্রসেনানী আব্দুল মালেক ভাইয়ের ৪৭ তম শাহাদাত বার্ষিকী। শহীদ আব্দুল মালেক ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণ রসায়ন বিভাগের সেরা ছাত্র । ইসলামী শিক্ষার পক্ষে কথা বলতে গিয়ে ধর্মনিরপেক্ষতাবাদী ও
সমাজতন্ত্রীদের হাতে গুরুতর আহত হওয়ার ৩ দিন পর ১৯৬৯ সালের ১৫ আগষ্ট তিনি শহীদী মৃত্যুর অমিয়সুধা পান করেন। পাকিস্তান আমলে সর্বশেষ শিক্ষা কমিশন গঠন করা হয় ১৯৬৯ সালে । এতে শিক্ষা ব্যবস্থার আদর্শিক ভিত্তি কি হবে, তা নিয়ে জনমত জরিপের আয়োজন করা হয় । এর অংশ হিসেবে সরকারের পক্ষ থেকে ১৯৬৯ সালের ১২ আগষ্ট টি.এস.সি. তে আয়োজন করা হয় একটি আলোচনা সভার । এই আলোচনা সভায় বামপন্থীদের বিরোধীতামুলক বক্তব্যের মধ্যে শহীদ আব্দুল মালেক মাত্র ৫ মিনিট বক্তব্য রাখার সুযোগ পান । অসাধারন মেধাবী বাগ্মী আব্দুল মালেকের সেই ৫ মিনিটের যৌক্তিক বক্তব্যে সভার মোটিভ পুরোপুরি পরিবর্তিত হয়ে যায় । উপস্থিত শ্রোতারা আব্দুল মালেকের বক্তব্যের সাথে ঐক্যমত্য পোষণ করে । আব্দুল মালেকের ত্বত্ত্ব ও যুক্তিপূর্ণ সংক্ষিপ্ত বক্তব্য ক্ষিপ্ত করে দেয় ইতোপূর্বে বক্তব্য রাখা ইসলাম বিরোধী বক্তাদের । এই ঘটনার প্রেক্ষিতে যুক্তি ও বান্তবতার লড়াইয়ে পরাজিত বাম ও ধর্মনিরপেক্ষ গোষ্ঠী ক্ষিপ্ত হয়ে আক্রমন চালায় ছাত্রদের ওপর । সকল সংগীকে নিরাপদে বিদায় দিয়ে শহীদ আব্দুল মালেক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের পাশ দিয়ে যাবার পথে লোহার রড-হকিষ্টিক নিয়ে তার ওপর ঝাপিয়ে পড়ে পিশাচ বাহিনী ধর্মনিরপেক্ষ ও বাম সন্ত্রাসীরা । রক্তাক্ত হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসের অন্যতম সেরা ছাত্র আব্দুল মালেক । তিনদিন পর ১৫ আগষ্টে শাহাদাত বরন করেন ইসলামের এই মহান বক্তা । আব্দুল মালেকের জন্ম ১৯৪৭ সালের মে মাসে। জন্ম স্খান বগুড়া জেলার ধুনট উপজেলার খোকসাবাড়ী গ্রামে। অসাধারণ মেধাবী আব্দুল মালেকের আলোকোজ্জল শিক্ষাজীবন ছিলো এরকম, -তিনি জুনিয়র স্কলারশীপ লাভ করেন। -এসএসসি পরীক্ষায় রাজশাহী বোর্ডে মেধা তালিকায় একাদশ স্খান অর্জন করেন।-এইচএসসি পরীক্ষায় মেধা তালিকায় ৪র্থ স্খান নিয়ে পাস করেন। -এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জৈব রসায়ন বিভাগে ভর্তি হন। -শাহাদাত বরণ কালে তিনি ৩য় বর্ষের ছাত্র ছিলেন। -তিনি ফজলুল হক মুসলিম হলের আবাসিক ছাত্র হিসেবে ১২২ নং রুমে থাকতেন।
শহীদ আব্দুল মালেকের মধ্যে বিস্ময়করভাবে অনুকরণীয় সব গুণের সমাবেশ ঘটেছিল। তিনি ছিলেন প্রখর মেধাবী, নিরহংকার, বিনয়ী, মিষ্টভাষী, সঠিক নেতৃত্ব দানের দূর্লভ যোগ্যতার অধিকারী, ভালোবাসা, ত্যাগ ও কুরবানীর উজ্জ্বল ও অনুপম দৃষ্টান্ত। ইসলামী শিক্ষাব্যবস্থারপক্ষে কথা বলতে গিয়ে প্রথম শহীদ , শহীদ আব্দুল মালেক ইসলামী আন্দোলনের প্রতিটি কর্মীর মনে চিরদিন ভাস্বর হয়ে থাকবেন প্রেরনার এক সুউজ্জ্বল বাতিঘর হয়ে ।

শুক্রবার, ২ জানুয়ারী, ২০১৫

বাবা’কে বিষণ মনে পড়ে! ৩১ডিসেম্বর ২০১৩ইং

১ম মৃত্যু বার্ষিকী
বুঝিনি কবু বাবা এভাবে বিজয় মাসে বিদায় ঘন্টা বাজাবে। যখন বাবা পাশে ছিল এক মূহুর্তেও মনে করিনি বাবা হারিয়ে যাবে। বাবার মৃত্যুর আমন্ত্রণ এতো ঘনিয়ে জানলে তৃপ্তিভরে ‘বাবা’ ডেকে নিতাম। একটানা এক বছর চার মাস আরোগ্যে কোন ডাক্তার কবিরাজ সনাক্তা করতে না পারায় বিভিন্ন ঔষুধ সেবনে ছিলেন ব্যাস্ত আমার বাবা। শারিরীক এতো অসুস্থতার পরও চিন্তা-চেতনা, দেহ-বল ছিল সতেজ। তাঁর চলাফেরা ছিল স্বাভাবিকের ন্যায়। রাতে ব্যাথা যন্ত্রণা বাড়লেও দিনে রীতিমত চালিয়ে যায় তাঁর প্রয়োজনীয় কাজ-কাম। বোঝা যেতনা তিনি একজন অসুস্থ। কোন কাজে খাম-খেয়ালী ছিল না তাঁর। এতো পরিশ্রমী, ধার্মিক, সৎ, সত্যবাদীর পরিচয় দিয়ে গেল আমাদের কাছে। যেমন ছিল গরম মেজাজী তেমন ছিল সাধু, দয়ালু, হৃদয়বান সাদা-মাটা। মিষ্টি কথায় কারো মন ভোলার চেয়ে তিক্ত কথায় স্পষ্টবাদী তাঁর স্বভাব। সুতরাং যার দরুণ লোকের কাছে তেমন প্রিয় হয়ে উঠেনি। কোন বদঅভ্যাস, অপব্যায়ে মগ্ন ছিল না। তাঁর অসাধ্য চেষ্টায় আমাদের এত বড় সংসারে অভাবের ছোঁয়া লাগেনি। সংসারে ৬ভাই ৩বোন কে গড়েছে মানুষ করে। বাবা হয়ে ঋণী থাকেনি সন্তানের কাছে। ‘মা’ আর ‘বাবা’ ডেকে তৃষ্ণা মিটেনী। মনে করেছিলাম মা’ই শুধু পাষান বাবার হাতে তুলে দিয়ে আমাদের অসহায় রেখে বিদায় দিল। কিন্তু দেখি বাবা, মায়ের চেয়ে কম পাষাণ নয়। সে ও কিভাবে একাকী ফেলে চলে গেল আমাদের নিঃস্ব করে। ডিসেম্বর নজিরবিহীন বাংলার বিজয় এবং স্বাধীনতার মাস হিসেবে বাঙ্গালীর মনে আবেগাপ্লুত স্মৃতির শোক বয়ে যায় যুগ যুগ ধরে। সেই ডিসেম্বরের মধ্য দিয়ে ঝরে যায় বিভিন্ন স্মৃতি বিজড়িত একটি পূর্ণাংগ বছর আর সূচনা হয় সজ্জিত নতুন বছর। বাবাও কি সে অবিকলে সমাপ্তি ঘটাল বিজয় মাস এবং অতিবাহিত একটি সম্পূর্ণ বছর আর নতুন বছরের আগমনে! নয় মান যুদ্ধে ত্রিশ হাজার মা-বোনের ইজ্জত আর রক্তের বিনিময়ে এই ডিসেম্বর বিজয় মাসের উড্ডয়ন, লাল বৃত্তিকায় সবুজ পতাকা উদয়নে ব্যাথা-বেদনাহত মুক্তমনায় হাসি উৎফুল্ল সারা বাংলা ডিসেম্বরের আগমনে । বিজয়ের মাস ডিসেম্বর ছিনিয়ে আনতে যেমন ছিল কষ্টের ফল তেমনি বিদায় বেলা আরও বেদনাদয়ক। সে ডিসেম্বর বিদায়বেলা কেড়ে নিয় যাই আমার প্রাণপ্রিয় ‘বাবা’কে। ৩১ তারিখ রাত ১২টা পার হয়ে ১তারিখে যখন পা দেয় বাবার বিদায় ঘন্টা বাজে। ভোর না হতে বাবা পরিবারের সবার (প্রত্যেক সন্তানের) কাছে দায়িত্ব তুলে দিয়ে সুস্থভাবে বিদায় নেয়। সবাই কান্নায় কলরোলে পাগলপারা। এই কি বাস্তব বিশ্বাসের অযোগ্য অশ্রুজলে সিক্ত প্রত্যেকে। বিজয়মালায়  ডিসেম্বর বাঙ্গালীর মনে যেমন গৌরব জন্মালো তেমনি আর একটি ইতিহাসের সূচনা ঘটালো বাবা’র নিশির রাতে চিরনিদ্রায়। এই দিনটিতে অশ্রুজলে সিক্ত, বেদনায় মক্ত ছাড়া আর কিছু দেবার নাই বাবা তোমাকে। 

শিকের ওপারে বাবাকে শুধু দেখেছি...কোলে উঠতে পারিনি -

আমি নুমায়ির। নামিরার ভাই। আমার বয়স সাত দিন। নুমায়ির আমার ডাকনাম। বাবা আমার নাম না রাখতে পারলেও অনলাইনেই আমার একটি নাম দেয়া হয়েছে- আব্দুল্লাহ ইবনে মাসুদ। প্রখ্যাত সাহাবীর নামেই আমার এ নাম। মাসুদ আমার বাবা। আমি উনাকে দেখেছিলাম না। আজ দেখেছি। সাধারণত ছেলে সন্তান জন্মের পরে সন্তানের কানের পাশে নাকি আযান দেয়া হয়। সচরাচর পিতাই আনন্দে আবেগাপ্লুত হয়ে আযান দিয়ে থাকেন। আমার বাবাও সেরকমই স্বপ্ন দেখেছিলেন। কিন্তু পারেননি। কারন উনি বাসায় ছিলেন না।
এক দিন দুই দিন করে করে ছয়টি দিন পার হয়ে গেল। কিন্তু বাবা আসছিলেন না। অনেকেই বাসায় আসলেন। আমাকে কোলে নিলেন। আমাকে সবাই কেন যেন একটু বেশী করে আদর করছেন। কিন্তু জানেন, আমার সব আদরের পরেও কেন যেন একটি অতৃপ্তি কাজ করছিল। কি সেটা আমি বুঝতে পারছিলাম না। আমি ছোট তো, তাই কাউকে জিজ্ঞাসাও করতে পারছিলাম না।
সবাই আমার ছবি তুললেন। আদর করে ফেসবুকেও আমার ছবি পোস্ট করলেন চাচ্চুরা, খালামনিরা। যারা আমাদের বাসায় আসতে পারেননি, তারাও আমাকে দেখলেন। কমেন্টে অনেকেই অনেক দোয়া করেছেন। অনেকে নাকি আমাকে দেখে চোখের পানিও ফেলেছেন। আল্লাহর কাছে আমার জন্য অনেক দোয়া করেছেন।
আজ এক সপ্তাহ পরে মামনি আমাকে নিয়ে বাইরে গেলেন। ঘিঞ্জি রাস্তা দিয়ে চলতে চলতে এক সময় একটি বড় দালানের কাছে পৌঁছলাম আমরা। কী জানি কোথায় যাচ্ছি আমরা! তবে এক ধরনের অজানা ভাল লাগা আমার মধ্যে কাজ করছিল। আমিতো আসলে জানিনা, আমরা কোথায় যাচ্ছি। শেষ পর্যন্ত আমরা ভেতরে গেলাম। কিছুক্ষন পরে লোহার শিকের ওপাশ থেকে একজন আমাকে ডাকলেন। আমি আধো আধো চোখ খুলে তাকালাম। খুব নজর করে খেয়াল করলাম। প্রথম দেখাতেই খুব ভাল লাগল। এক ধরনের অনুভূতি খেলা করে গেল ভেতরে। খেয়াল করলাম- উনার চোখের পানি বের হতে চাচ্ছে। কিন্তু উনি দৃঢ়তার সাথে তা আটকে রাখতে চাইছেন। মা আমাকে উচু করে ধরলেন। বললেন- দেখ, বাবাকে। আমার মনে পড়ে গেল এ কোলের জন্যই তো আমার অপেক্ষা ছিল। ইনিই আমার বাবা! বাবা, আমিতো তোমার জন্যেই অপেক্ষা করছি ক’দিন ধরে। আমি ভাবলাম, এবার বাবা আমাকে কোলে নেবেন। অতৃপ্তি বোধ হয় কিছুটা মিটবে। আমি অপেক্ষা করলাম। কিন্তু জানেন, বাবা আমাকে কোলে নিলেন না। কিভাবে নেবেন, কালো শিকের কারনে বোধ হয় আসতে পারছেন না। বলতে চাইলাম, বাবা শিকের এপাশে আসো। আমিতো তোমার জন্য হাত বাড়িয়ে আছি...
বাবা এবার আর পারলেন না। শব্দ করে ডুকরে কেঁদে ফেললেন। মায়ের চোখের দিকে তাকিয়ে দেখি, উনার চোখেও পানি।। আর বোন নামিরার দিকে খেয়াল করলাম। না, ও কিছু বুঝছেনা। ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে আছে। একবার বাবার দিকে, একবার মায়ের দিকে আরেকবার আমার দিকে তাকাচ্ছে। কালো শিকগুলো ধরে ও শুধু ঝাকাচ্ছে। ওর বয়সও তো বেশী না। তাই শিকগুলো ও ভাংতে পারছেনা। আমি আরেকটু বড় হলে এ শিক ভেঙ্গে বাবার কাছে যেতাম। আমি বাবার চোখের পানি মুছে দিতে চাইলাম। কিন্তু আমার হাত তো ছোট। শিক পার হবেনা। তাই, বাবাই পরক্ষনে চোখ মুছে আমার দিকে তাকিয়ে মিষ্টি করে হাসলেন... বাবার হাসিটা না খুব মিষ্টি!
বাবা হাত বাড়ালেন। আমার মাথায় হাত বুলালেন। কী পরম তৃপ্তি বাবার হাতের স্পর্শে...। বাবা আমার দিকে তাকিয়ে আমাকে কিছু কথা বললেন। সে কথাগুলো বোধ হয় বাবার এতোদিনের সংরক্ষিত অনুভূতির ফসল। উনি বললেন- "দেখে রাখ জালিমের জেলখানা, আসতে হতে পারে তোমারও, এই আন্দোলনের ডাকে সারা দিয়ে"। আমি বলতে চাইলাম- বাবা, তুমি শুধু দোয়া কর। তোমার এ আন্দোলনের পথে যেন আমিও যথাযথভাবে পা বাড়াতে পাড়ি। আমার নামের স্বার্থকতা যেন আমি রাখতে পারি। তোমার মত সাহসী যেন হতে পারি, বাবা।
চলে এলাম বাবার আদেশ মিশ্রিত নির্দেশনাকে বুকে ধারন করে।
সবার কাছে দোয়া চাইছি। আমি যেন ধৈর্য ধারন করতে পারি। আর বাবা যেন খুব দ্রুত আমার কাছে চলে আসতে পারেন।

(নুমায়িরের অনুভূতি হয়তবা এমনই হবে। মাসুদ ভাইয়ের সাথে জেলখানায় তাঁর সন্তানের সাক্ষাতের ছবিটি দেখে খুব আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েছি। কল্পনা করতে চেষ্টা করলাম সদ্যজাত এ নুমায়িরের অনুভূতির ব্যাপারে। সে কল্পনাকেই লিখতে চেষ্টা করেছি মাত্র-

বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৪

জামায়াত-শিবিরের বিক্ষোভে উত্তাল দেশ : অবিলম্বে সাঈদীর মুক্তি না হলে সরকারকে টেনেহিচড়ে নামাবে জনতা


জামায়াত-শিবিরের বিক্ষোভ সমাবেশে উত্তাল দেশ। সুপ্রিমকোর্টের চূড়ান্ত রায়ে জামায়াতের নায়েবে আমির ও বিশ্বনন্দিত মোফাসসিরে কোরআন মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীরকে আমৃত্যু সশ্রম কারাদণ্ড দেয়ার প্রতিবাদ ও আজকের হরতালের সমর্থনে বুধবার এ বিক্ষোভ মিছিল করেন জামায়াত-শিবির নেতাকর্মীরা। 
বিক্ষোভ মিছিলে নেতাকর্মীরা সরকার আল্লামা সাঈদীর কণ্ঠকে রুদ্ধ করে কোরআনের আওয়াজ বন্ধ করার চক্রান্ত করছে অভিযোগ করে অবিলম্বে তাকে মুক্তি না দিলে জনতা এ সরকারকে টেনেহিচড়ে ক্ষমতা থেকে নামাবে। 
বিভিন্ন স্থানে এসব বিক্ষোভ সমাবেশে নেতার রায় প্রত্যাখ্যান কর তা প্রহসন অভিযোগ করে অবিলম্বে নিরপরাধ মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে মুক্তি না দিলে দেশ অচল করে দেয়ারও হুমকি দেন। 
দেশব্যাপী জামায়াত-শিবিরে বিক্ষোভ সমাবেশের খবরের বিস্তারিত ডেস্ক রিপোর্টে : 
চট্টগ্রাম : জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিরুদ্ধে দেয়া প্রহসনের রায় বাতিল করে তাকে নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে চট্টগ্রাম মহানগর জামায়াত ও ইসলামী ছাত্রশিবির। 
সমাবেশে বক্তারা বলেন সরকার দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব বিকিয়ে দিয়ে নিজেদের ক্ষমতা পাকাপোক্ত করার জন্য দেশপ্রেমিক জনদরদী নেতাদের জেলে আটকে রাখার পায়তারা করছে। এজন্য তারা আদালতের ঘাড়ে বন্দুক রেখে বিরোধী নেতাদের বছরের পর বছর মিথ্যা সাজানো মামলা দিয়ে প্রহসনের রায়ের মাধ্যমে দেশবাসীর মনে গভীর ক্ষত সৃষ্টি করছে। 
বক্তারা বলেন, জামায়াত নেতাদের একমাত্র অপরাধ তারা জনগণকে আল্লাহর কথা বলেন। দেশের মানুষকে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করেন ও স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষায় জাতিকে সদা সজাগ রাখে। নেতৃবৃন্দ মাওলানা সাঈদীসহ সব রাজবন্দিকে দ্রুত মুক্তি দেয়ার জোর দাবি জানান। নেতৃবৃন্দ সাঈদীর বিরুদ্ধে দেয়া রায়ের প্রতিবাদে জামায়াত ঘোষিত বৃহস্পতিবারের হরতাল শান্তিপূর্ণভাবে সফল করার জন্য নগরবাসীর প্রতি আহবান জানান।
এদিকে মাওলানা সাঈদীর আমৃত্যু দণ্ডাদেশের চূড়ান্ত রায়কে প্রত্যাখ্যান করে নগরীর মুরাদপুর এলাকায় ঝটিকা মিছিল করেছে জামায়াত-শিবির। বুধবার দুপুরে এ ঝটিকা মিছিল বের হয়। মিছিল থেকে গাড়ি ভাংচুরের চেষ্টাও করে তারা।
পাঁচলাইশ থানার ওসি মহিউদ্দিন মাহমুদ বলেন, ঝটিকা মিছিল থেকে শিবির কর্মীরা কয়েকটি গাড়ি লক্ষ্য করে ইট-পাথর ছুড়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে তারা পালিয়ে যায়।
খুলনা : বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও খুলনা মহানগরী আমির মাওলানা আবুল কালাম আজাদ বলেছেন, সরকার অন্যায়ভাবে আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে অন্যায়ভাবে আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছে। তিনি সরকারের রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার। দেশ থেকে ইসলামী নেতৃত্বশূন্য করার উদ্দেশে বিশ্ববরেণ্য মুফাসসিরে কোরআন আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিরুদ্ধে সরকার নির্দেশিত ছকে এ রায় দিয়ে দেশকে এক ভয়াবহ সংকটে নিক্ষেপ করেছে। 
আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিরুদ্ধে অন্যায় রায় প্রদান ও তার মুক্তির দাবিতে বুধবার তাত্ক্ষণিক কর্মসূচির অংশ হিসেবে খুলনা মহানগরী জামায়াতের উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে তিনি এ সব কথা বলেন। 
বিক্ষোভ মিছিলে অন্যান্যের মাঝে উপস্থিত ছিলেন খুলনা মহানগরী ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি মিম মিরাজ হোসাইন, জামায়াত নেতা মিয়া আকরামুজ্জামান রাজা, মো. অলিউল্লাহ, এস এম আক্তারুজ্জামান, আবু বকর সিদ্দিক, মুরাদ সোহাগ প্রমুখ।
মাওলানা আবুল কালাম আজাদ বলেন, আল্লামা সাঈদীর কণ্ঠকে রুব্ধ করে দিয়ে কোরআনের আওয়াজ বন্ধ করার চক্রান্ত্রের বিরুদ্ধে দেশের জনগণ সরকারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছে। সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল করে জনগণ দেখিয়ে দিয়েছে জনতা এ সরকারকে টেনেহিচড়ে ক্ষমতা থেকে নামাবে। 
তিনি অবিলম্বে সরকারকে সঠিক পথে আসার আহবান জানিয়ে বলেন, এ আন্দোলন জনতার আন্দোলন, এ আন্দোলন আল্লামা সাঈদীসহ জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষ নেতৃবৃন্দের মুক্তির আন্দোলন। জনতার রোষ ঠেকাতে পারবেন না। অবিলম্বে নিরপরাধ মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে মুক্তি দিন। তা না হলে দেশ অচল করে দেয়া হবে।
সিলেট : দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে আমৃত্যু কারাদণ্ডের প্রতিবাদ ও তার মুক্তির দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে জামায়াতে ইসলামীর সিলট সদর উপজেলা ও শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবির।
বাদ যোহর শহরতলীর টুকের বাজার এলাকায় অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে সদর জামায়াত আমির সুলতান খাঁর সভাপতিত্বে সেক্রেটারি আবদুল লতিফ লালার পরিচালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয় মিভির সভাপতি সাইফুল ইসলাম সুজন, সদর জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি নজির আহমদ। 
সভাপতির বক্তব্যে সদর জামায়াতের আমির বলেন, প্রহসনের রায়ের বিরুদ্ধে জনগণ মাঠে নেমে এসেছে। সরকারের এ দাবানল নেভানোর জন্য অনতিবিলম্বে মাওলানা সাইদীকে মুক্তি দেয়া উচিত।
উপস্থিত ছাত্র জনতার উদ্দেশ্যে শাবি শিবির সভাপতি সাইফুল ইসলাম সুজন বলেন, আপিল বিভাগ সরকারের মদদপুষ্ট হয়ে মাওলানা সাঈদীকে আমৃত্যু কারাপ্রদান করেছে আমরা এ প্রহসনের রায় প্রত্যাখ্যান করছি। এই রায় দেলোয়ার শিকদারের জন্য প্রযোজ্য হতে পারে মাওলানা সাঈদীর জন্য এ রায় প্রযোজ্য না। মাওলানা সাঈদীকে নির্দোষ। মাওলানা সাঈদী বেকসুর খালাস পেয়ে আবারো জনতার মাঝে ফিরে আসবেন। মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী একজন আলেমে দ্বীন, বিশ্ববরেণ্য মোফাসসিরে কোরআন। বাংলাদেশসহ বিশ্বের অগণিত মানুষের হৃদয়ে তার স্থান। বিগত প্রায় অর্ধশতাব্দী কাল যাবত্ তিনি দেশে-বিদেশে মহাগ্রন্থ আল কোরআনের তাফসির পেশ করে আসছেন। ১৯৭৮ সাল পর্যন্ত তাঁর কোন রাজনৈতিক দলের সাথে সম্পৃক্ততা ছিল না। তিনি কোরআনের ময়দানে বিচরণ করেছেন সদা-সর্বদা। রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার জন্য দেলোয়ার সিকদারের অপকর্মের দায় আল্লাামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ওপর চাপিয়ে দেয়া হয়েছে।
বরিশাল : জামায়াতের নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিরুদ্ধে রায়কে প্রহসন উলেস্নখ করে এর প্রতিবাদে ও হরতালের সমর্থনে ঝটিকা মিছিল করেছে বরিশাল মহানগর জামায়াত ও শিবিরের নেতাকর্মীরা।
বুধবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে শহরের সিঅ্যান্ডবি রোডের তন্ময় কমিউনিটি সেন্টারের সামনে থেকে পৃথক দুটি ব্যানারে মিছিল বের করা হয়।
বরিশাল মহানগর শিবিরের সভাপতি আহম্মেদ শিহাবের নেতৃত্বে মিছিল থেকে নেতাকর্মীরা রায়ের প্রতিবাদ জানান। মিছিলটি ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক হয়ে কলেজ অ্যাভিনিউতে গিয়ে শেষ হয়।
গাজীপুর : জামায়াতের নায়েবে আমির অল্লামা দেলওয়ার হোসাইন সাঈদীর আপিল মামলার রায়ের প্রতিবাদে এবং কেন্দ্রীয় কর্মসূচী ২ দিন ব্যাপী হরতালের সমর্থনে গাজীপুরে বুধবার বিকেলে জামায়াতে ইসলামের উদ্যোগে পৃথক বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গাজীপুর মহানগর জামায়াতের উদ্যোগে শহরের ঊনিশ চত্বর মুক্তমঞ্চ এলাকা থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি জয়দেবপুর বাজার এলাকা প্রদক্ষিণ করে বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। এ সময় বক্তব্য রাখেন গাজীপুর জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মাওলানা এস এম ছানাউল্লাহ, গাজীপুর মহানগর জামায়াতের আমির আবদুল বাছেদ ও সেক্রেটারীি সাইদুর রহমান।
এছাড়া একই সময়ে গাজীপুর মহানগরের চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় গাজীপুর সদর উপজেলা জামায়াতের উদ্যোগে একই দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। গাজীপুর সদর উপজেলা জামায়াতের আমির মো. আজহারুল ইসলামের নেতৃত্বে মিছিলটি চান্দনা চৌরাস্তা এলাকা হয়ে ঢাকা রুটের বাইপাস এলাকায় এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন গাজীপুর জেলা জামায়াতের রাজনৈতিক সেক্রেটারি মো. খায়রুল হাসান, জেলা জামায়াতের আইন বিষয়ক সম্পাদক মো. হোসেন আলী, টংগী থানা জামায়াতের সেক্রেটারি আফজাল হোসেন, মহানগর শিবিরের সভাপতি ফুয়াদ হাসান পল্লবসহ সহস্রাধিক নেতাকর্মী। 
যশোর : জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর আমৃত্যু জেল দেয়ার প্রতিবাদে এবং দুই দিনের হরতালের সমর্থনে যশোরের বিভিন্ন এলাকায় মিছিল সমাবেশ হয়েছে। রায় ঘোষণার পর দলের নেতাকর্মীরা রাজপথে নেমে এসে এসব মিছিল সমাবেশে অংশ নেন।
বিকেলে যশোর শহরে জামায়াতের উদ্যোগে মিছিল বের হয়। মিছিলটি শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করে। মিছিলে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দলের শহর সেক্রেটারি অধ্যাপক শামসুজ্জামান, সহকারী সেক্রেটারি মাওলানা রেজাউল করিম, শিবিরের শহর সেক্রেটারি আজহারুল ইসলাম প্রমুখ।
এছাড়া জেলার আটটি উপজেলা সদর ও গুরুত্বপূর্ণ হাটবাজারে মিছিল করে জামায়াত-শিবির।

২৬বছর বয়সী নেপালের এক যুবক বাইসাইকেল যুগে ১৯৫ টি দেশ ভ্রমণ


সেলিম মালয়েশিয়াঃ নেপালের দীপাক কার্তী নামে ২৬ বছরের এক যুবক বাইসাইকেল যুগে এশিয়া, আফ্রিকা, ইউরোপ মহাদেশ ভ্রমণ করার একটি চূড়ান্ত প্ল্যান সৃষ্টি করে। দীপাকের বয়স যখন ২৩বছর তখন (২০১১ইং থেকে) ভ্রমণ শুরু করে এশিয়া মহাদেশে নেপাল, ভূটান, ভারত, পাকিস্তান, শৃলঙ্কা, মালদ্বীপ ও বাংলাদেশ এবং অন্যান্য এ পর্যন্ত ১৬টি দেশ ভ্রমণ করেছে। দীপাক বর্তমানে মালয়েশিয়া ভ্রমণাদীন আছে। মালয়েশিয়া ২০দিন ভ্রমণ শেষে সিঙ্গাপুর, ইন্দুনেশিয়া, থাইল্যান্ড, ফিলিপাইন, হংকং ও জাপান শেষ করে আবার নেপাল ফিরবে। এরপর আফ্রিকা মহাদেশ দিয়া শুরু করবে দীপাকের বাইসাইকেল ভ্রমণযাত্রা। এভাবে ১৯৫টি দেশ ভ্রমণ শেষ করবে তার বয়স যখন ৩৮ বছর উর্ত্তীণ হবে।