পৃষ্ঠাসমূহ

সোমবার, ১৯ অক্টোবর, ২০১৫

রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রিসহ উচ্চ পর্যায়ে বেতন বৃদ্ধির অনুমোদন।

দীর্ঘ ২১বছর পর এই প্রথম টেকনাফ শাহপরীর দ্বীপের লণ্ডভণ্ডের ঠান্ডব। স্বচক্ষে এতো নাজুক কিভাবে হতে পারে আল্লাহ ছাড়া কেঊ জানে না। আল্লাহর কি খুদরোত! এই সাজানো সুন্দর বিচিত্র কিভাবে বালির বাঁধের মত নিমিষে শেষ করতে পারে! কক্সবাজার জেলার মধ্যে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ শাহপরীর দ্বীপ, সেন্টমার্টিন। যেমন বৃষ্টি, ঝড়ো হাওয়া ও ধমকা হাওয়া তেমনি জলোচ্ছ্বাসের প্রবল চাপে সাগরের লোনা পানি সাথে মিশে যায় সারা শাহপরীর দ্বীপ। পাল্টিয়ে দেয় পুরা শাহপরীর দ্বীপের চেহেরা, রূপ নেয় এক ভংয়কর চিত্রে। কোমেন নতুন প্রজন্মের জন্য সর্বকালের শ্রেষ্ঠ ঘূর্ণিপাক। বৃহস্পতিবার রাত নয়টা থেকে শুক্রবার রাত বারটা পযর্ন্ত কোমেন যে ভূমিকা রাখছে শাহপরীর দ্বীপবাসী সর্বস্ব হয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে ভিড় জমায়। শাহপরীরদ্বীপ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, উত্তর পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ডাংগর পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দক্ষিণ পাড়া বেঃসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, জালিয় পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এসব আশ্রয় কেন্দ্র ছিল শেষ সম্বল। এখনও ৫০% বাড়িঘরে জোয়ারের ঢেউ। ৯০% পরিবার ক্ষয়ক্ষতির শিকার, অনেকের হাস-মুরগি, গরু-ছাগল, মারা গেছে। ঘর-বাড়ির প্রয়োজনিয় আসবাবপত্র, কাগজপত্র, ছেলেমেয়েদের বইপত্র সহ অসংখ্য ক্ষয়ক্ষতি হয়। গাছপালা ভেঙ্গে চলাচলের রাস্তা-ঘাট বন্ধ হয়ে যায়। অধিকাংশ বাশ ও পাতার ছাউনি বাড়ি ঘর ভেঙ্গে ছিন্নভিন্ন, ঘিরা-বেড়া উচ্ছেদ হয়ে মাটির সাথে মিশে যায়। কোনের চাপ কমলেও শনিবার ভারি বর্ষন হতে থাকে। এতো অসহায়ের মাঝেও কোমেনের শিকার মানুষের পাশে দাঁড়ানো সহৃদয়বান মিলেনি। শাহপরীর দ্বীপের চতুরদিকে থই থই পানি আর মাঝখানে বাঁচিয়ে থাকার স্বপ্ন দেখে। বিদ্যুতে লাইন সংযোগ সহ পরিস্থিতি স্বাভাবিক আনতে ২০ থেকে ২৫দিনের কম নয়। বিদ্যুতবিহীন জীবনটা হয়ে উঠবে হাহাকার।    

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন