Msia.com: মালায়েশিয়ার প্রাচুর্য

বৃহস্পতিবার, ৬ অক্টোবর, ২০১১

মালায়েশিয়ার প্রাচুর্য

কেএলসিসি টাউন

রাজধানী মসজিদ

কুয়ালালুমপুর শহর

প্রাইম ম্যানিষ্টারের কার্যালয়

মিনার এবং রাজধানী

কেএলসিসি মসজিদ

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

এতে সদস্যতা: মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)

মা তুমি বলবে কি?

মা কথাতো এমন ছিলনা, আমার আড়ালে তুমি যে লুকিয়ে যাবে। আসলে কি আমি ছিলাম তোমার বোঁঝা? আমি এমন কি অপরাধ করেছি মা, যে অপরাধে তোমার সব অধিকার থেকে বঞ্চিত করেছ আমাকে? আমিওতো তোমার সন্তান, তাইনা মা? তাহলে এতো নিষ্ঠুর কিভাবে হলে? সবাইতো তোমার সেবায় ব্যস্থ ছিল।আমারও কি ইচ্ছা ছিল না মা? সব পিতা-মাতাদের কোন না কোন সার্থকতা থাকে সন্তানদের নিয়ে। মা আমাদের উপর তোমার সার্থকতাটা কি ছিল? আমি মনে করি ‘মা’ শব্দটা শুনার সবচেয়ে বড় সার্থকতা ছিল তোমার জীবনে। না হলে তুমি আর কি পেয়েছ এবং কি দিয়েছি আমাদের কাছ থেকে।আর কেন এমন প্রতিজ্ঞা করেছ যেন আমার দেখা না পেয়ে পরকালের স্বন্দিপণ।কেন এমন অভিশাপে অভিশপ্ত করেছ আমায়? সন্তানদের জীবনে মা-বাবারা চাই মঙ্গল, আর তুমি? দেখ মা! তোমার প্রতিজ্ঞার রূপ ছিল কেমন- ‘তোমার জীবনে আমাকে কোন আর্থিক বা শারিরীক সেবার সেবক হতে দিবে না। এমন কি তোমার মৃত্যুমুখ এবং জানাযায় পর্যন্ত শরীক হতে দিবে না’।ঠিক হয়েছে তাই।মা তোমার আর কোন দুঃখ নাই মা। তোমার প্রতিজ্ঞা পূর্ণ হয়েছে। তোমার এমন দুঃখ ছিল মা, যে দুঃখে শেষ বিদায়ে প্রতিশোধ নিলে।আমি অধম, হেয়, নিকৃষ্ট, পাপী, হতভাগা এই পৃথিবীতে ক্ষমার অযোগ্য। কারণ তোমার কাছে ক্ষমার সুযোগ মিলেনি। যাই আর কার ধারে? মা দিবে কি? পর জগতে ক্ষমার অধিকার।যদি মা-বাবারা সন্তানের অমঙ্গল না চাই তুমি আমাকে অবশ্যই ক্ষমায় স্বর্গপ্রার্থী করবে ‘মা’। মা হয়ে সন্তানের প্রতি এতো ক্ষোভ থাকলে জন্ম না দেওয়াটাই ছিল শ্রেয়। আমি ছিলাম তোমার পথের কাটা, যে কাটা সরিয়ে চলে গেলে চিরতরে। সে দিন আমাকে বুকে জড়িয়ে বিদায় বেলা ইঙ্গিতে বলনি কেন মা? ‘আরে বেঠা মনে হই আমার সময় শেষ হয়েছে, আমিও চলে যেতে পারি’আমারতো ছিল না বলা অনেক বুকফাটা অশ্রুসিক্ত বেদনাক্ত অনুনয়।কিন্তু তোমার না থাকতে পারে কেননা, তোমার একাধিক সন্তান, আর আমার দুগ্ধ জননীতো তুমিই একজন। যদি পার আরেক জনমের মৃত্যু সেজে তোমার মৃত দেহের লাশ বহন এবং একমুঠো মাটি দেওয়ার সুযোগ দিবে মা? তাও যদি সম্ভব না হয়, তোমার পাশে আমার কবর দেওয়ার অনুমতি দিবে কি মা? তোমার মত আর কারও কী আছে এমন মা? সন্তানের শাষনে পিতা-মাতা কোন দিন না মেরে পারে কী? কিন্তু তুমিই পেরেছ। এমন কি ধমক, বকাবকী পর্যন্ত তোমার কাছে ঋণ থেকে গেল। ইচ্ছা ছিল মা তোমার হাতের মার খাওয়া, শাষনে গরম মেজাজী বকা শুনা, তাও থেকে বঞ্চিত। সেগুলো নাকি সন্তানের জন্য আর্শীবাদ হয়ে দাঁড়ায়। তাহলে বুঝা যাই সন্তানের উজ্জল ভবিষ্যত তোমার কাম্য ছিল না।আমরা ভার-বহনে হারিয়েছ তুমি, উঁকি দেয় স্মৃতি তোমার।মনে হয় আমরা তোমার কাছে বাবার চেয়ে আপন হতে পারি নাই। তা নাহলে বাবা অসচ্ছল হওয়ার আগে তুমি ইতি টেনেছ কেন? যাতে তোমার দায়-দায়িত্বের ভার সন্তানদের বহন করতে না হয়।তোমার চিন্তা ভূল ছিল নাকি মা? ‘যদি সন্তানেরা আমায় সেবা করে তাহলে তাদের দানের প্রতিদান হয়ে যাবে’। সম্পূর্ণ ভূল ধারণা। তুমি জান কি মা??? তোমার নয় সন্তান নই, হাজার সন্তানও যদি হাজার কোটি বছর তোমার সেবায় মগ্ন থাকে সেই জন্মের যন্ত্রনা-কষ্ট ও স্তনের একফোটা দুগ্ধ পানের তুচ্ছ পরিমানও শোধ করা যাবে না।সেই অমূল্য রত্ন তুমি, চলে গেছ যেমন-তেমন সেজে।পারিনী কিছু করতে ভূবনে..............

এদিক-ওদিক ঘুরলাম দেখলাম শুধু দেখলাম

ত্রিভূবনের মায়ের মত পেলামনা আপন

মিলে সব মিলে কিন্তু মিলেনা সেই মন

দশ মাস দশ দিন হাজার কষ্টার্জিত আমরা জন

ব্যথা-প্রসবে জ্বালা-যন্ত্রনায় অশ্রুজলে দীঘি ভরে জল

পেয়ে শিশুর মুখ সব ভূলে হাসিকান্নায় ফুটে পদ্মফুল

খেয়ে না খেয়ে দি্ন কাটায় খাওয়ায় শিশুপণ

সন্তান রোগ্যে ঘুম হারায় দুগ্ধ মা’জনন

কোথাও বিপদ আগে চনক জাগে মায়ের গগণ

হাজার যন্ত্রনায় বাড়ী ফিরে ভূলে বসি দেখে মা স্বজন

দৃঢ় মগ্নে দেখে থাকলে বুঝি মা যেন স্বর্গভূবন

না থাকলে বুঝা যায় মা যে কত প্রয়োজন

তাঁর শাষনে অবাধ্য থাকলেও করেনা অভিশাপের বারণ

আছে কি আরো কোথাও এমন অমূল্য রতন

এ জগতে মা নাই যার সর্বহারা সেইজন

কোন কিছুর বিনিময়েও পাবনা এসুখ সারা জনম

শ্রষ্ঠা ছাড়া পারে না কেউ এমন জনের পতন

সন্তানের জন্য স্বর্গরূপ সমিসীন মায়ের চরণ

মা হয়ে আসে একবার নই অদ্বিতীয় বরণ

ইতি

তোমারই পাগলপারা

সেলিম

পৃষ্ঠাসমূহ

বৃহস্পতিবার, ৬ অক্টোবর, ২০১১

মালায়েশিয়ার প্রাচুর্য

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন