সুপ্রিমকোর্টে শুনানির জন্য অপেক্ষমাণ মামলার প্রস্তুতি ও দিক নির্দেশনার জন্য রবিবার ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে জামায়াত নেতা আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর সঙ্গে তার দুজন আইনজীবী সাক্ষাৎ করেছেন।
অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম ও মতিউর রহমান আকন্দ তার সঙ্গে দেখা করেন বলে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের ডিফেন্স অফিস এক্সিকিউটিভ এমএম রহমান স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে বলা হয়।
আল্লামা সাঈদী তার বিরুদ্ধে ঘোষিত ফাঁসির আদেশ বাতিলের জন্য সুপ্রিমকোর্টে আপিল দায়ের করেছেন। মামলাটি শুনানির অপেক্ষায় রয়েছে। এ মামলার আইনি বিষয়ে প্রস্তুতির জন্য আল্লামা সাঈদী আইনজীবীদের দিকনির্দেশনা দেন।
যে দু’টি অভিযোগে তাকে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়েছে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় প্রমাণ এবং উক্ত অভিযোগের ফ্যাক্টস্ ও আইনি যুক্তি তুলে ধরার জন্য আল্লামা সাঈদী আইনজীবীদেরকে পরামর্শ দেন।
এ সময় তিনি বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তার হাজার কোটি মাইলের মধ্যেও আমার কোনো অবস্থান ছিল না। শুধুমাত্র রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার জন্য এই মামলায় আমাকে সাজা দেয়া হয়েছে।’
জামায়াতের সিনিয়র এই নেতা বলেন, ‘মাননীয় ট্রাইব্যুনালের নিকট আমি পাঁচ মিনিট সময় চেয়েছিলাম আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের জবাব দেয়ার জন্য। কিন্তু আমাকে সে সুযোগও দেয়া হয়নি।’
‘সরকার জামায়াত নেতাদেরকে মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক এ মামলায় সাজা দিয়ে ইসলামী আন্দোলনকে স্তব্ধ করে দেয়ার চক্রান্ত করছে। কিন্তু সরকারের সকল ষড়যন্ত্র এদেশের তৌহিদী জনতা নস্যাৎ করে দেবে; ইনশাআল্লাহ’ যোগ করেন তিনি।
আল্লামা সাঈদী বলেন, ‘যারা আল্লাহর একত্ববাদের আওয়াজ বন্ধ করে দিতে চায় আল্লাহ তায়ালা তাদের আওয়াজ বন্ধ করে দেবেন। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, বাংলাদেশের জমিন আল্লাহ ইসলামের জন্য কবুল করে নিয়েছেন।’
‘আজ হোক কাল হোক ইসলামের বিজয় অবশ্যম্ভাবী। যে জমিনে অন্যায়, অসত্য ও মিথ্যার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে গিয়ে শিশু-কিশোর, তরুণ, বৃদ্ধ ও নারীরা অকাতরে জীবন বিলিয়ে দেয়, সে জমিনে অবশ্যই আল্লাহর দ্বীন বিজয় লাভ করবে এবং জালেম শাহীর পতন ঘটবে’ বলেন তিনি।
জামায়াতের সিনিয়র এই নেতা বলেন, ‘আমি মৃত্যুর পরওয়া করি না। সারা জীবন শহীদী মৃত্যু কামনা করেছি। লক্ষ লক্ষ মানুষকে নিয়ে উন্মুক্ত ময়দানে আল্লাহর কাছে দু’হাত তুলে দোয়া করেছি শহীদী মৃত্যুবরণের জন্য। স্বাভাবিক মৃত্যুর মধ্যে কোনো গৌরব নেই, শহীদী মৃত্যু মানুষকে গৌরবান্বিত এবং মহিমান্বিত করে।’
তিনি বলেন, ‘আমি আল্লাহর প্রতি ঈমান আনার ও ঈমানের কথা বলার কারণে হাজার বার জীবন দিতে প্রস্তুত। আমি স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, শহীদ হাসানুল বান্না, সাইয়্যেদ কুতুব ও শহীদ আবদুল কাদের আওদাহ্কে শহীদ করে দ্বীনের আওয়াজ বন্ধ করা যায়নি।’
‘তাদের রক্ত শুধু মিসর নয়, সারা পৃথিবীতে কথা বলছে। আমি সেই দ্বীনে হকের দায়িত্ব পালনের অপরাধে যে মৃত্যু, সেই মৃত্যুই কামনা করি’ যোগ করেন তিনি।
আল্লামা সাঈদী বলেন, ‘আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, যে অভিযোগে আমাকে ফাঁসির আদেশ দেয়া হয়েছে সুপ্রিমকোর্টে তা মিথ্যা প্রমাণিত হবে এবং আমি কোরআনের ময়দানে ফিরে যাব; ইনশাআল্লাহ।
অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম ও মতিউর রহমান আকন্দ তার সঙ্গে দেখা করেন বলে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের ডিফেন্স অফিস এক্সিকিউটিভ এমএম রহমান স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে বলা হয়।
আল্লামা সাঈদী তার বিরুদ্ধে ঘোষিত ফাঁসির আদেশ বাতিলের জন্য সুপ্রিমকোর্টে আপিল দায়ের করেছেন। মামলাটি শুনানির অপেক্ষায় রয়েছে। এ মামলার আইনি বিষয়ে প্রস্তুতির জন্য আল্লামা সাঈদী আইনজীবীদের দিকনির্দেশনা দেন।
যে দু’টি অভিযোগে তাকে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়েছে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় প্রমাণ এবং উক্ত অভিযোগের ফ্যাক্টস্ ও আইনি যুক্তি তুলে ধরার জন্য আল্লামা সাঈদী আইনজীবীদেরকে পরামর্শ দেন।
এ সময় তিনি বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তার হাজার কোটি মাইলের মধ্যেও আমার কোনো অবস্থান ছিল না। শুধুমাত্র রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার জন্য এই মামলায় আমাকে সাজা দেয়া হয়েছে।’
জামায়াতের সিনিয়র এই নেতা বলেন, ‘মাননীয় ট্রাইব্যুনালের নিকট আমি পাঁচ মিনিট সময় চেয়েছিলাম আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের জবাব দেয়ার জন্য। কিন্তু আমাকে সে সুযোগও দেয়া হয়নি।’
‘সরকার জামায়াত নেতাদেরকে মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক এ মামলায় সাজা দিয়ে ইসলামী আন্দোলনকে স্তব্ধ করে দেয়ার চক্রান্ত করছে। কিন্তু সরকারের সকল ষড়যন্ত্র এদেশের তৌহিদী জনতা নস্যাৎ করে দেবে; ইনশাআল্লাহ’ যোগ করেন তিনি।
আল্লামা সাঈদী বলেন, ‘যারা আল্লাহর একত্ববাদের আওয়াজ বন্ধ করে দিতে চায় আল্লাহ তায়ালা তাদের আওয়াজ বন্ধ করে দেবেন। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, বাংলাদেশের জমিন আল্লাহ ইসলামের জন্য কবুল করে নিয়েছেন।’
‘আজ হোক কাল হোক ইসলামের বিজয় অবশ্যম্ভাবী। যে জমিনে অন্যায়, অসত্য ও মিথ্যার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে গিয়ে শিশু-কিশোর, তরুণ, বৃদ্ধ ও নারীরা অকাতরে জীবন বিলিয়ে দেয়, সে জমিনে অবশ্যই আল্লাহর দ্বীন বিজয় লাভ করবে এবং জালেম শাহীর পতন ঘটবে’ বলেন তিনি।
জামায়াতের সিনিয়র এই নেতা বলেন, ‘আমি মৃত্যুর পরওয়া করি না। সারা জীবন শহীদী মৃত্যু কামনা করেছি। লক্ষ লক্ষ মানুষকে নিয়ে উন্মুক্ত ময়দানে আল্লাহর কাছে দু’হাত তুলে দোয়া করেছি শহীদী মৃত্যুবরণের জন্য। স্বাভাবিক মৃত্যুর মধ্যে কোনো গৌরব নেই, শহীদী মৃত্যু মানুষকে গৌরবান্বিত এবং মহিমান্বিত করে।’
তিনি বলেন, ‘আমি আল্লাহর প্রতি ঈমান আনার ও ঈমানের কথা বলার কারণে হাজার বার জীবন দিতে প্রস্তুত। আমি স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, শহীদ হাসানুল বান্না, সাইয়্যেদ কুতুব ও শহীদ আবদুল কাদের আওদাহ্কে শহীদ করে দ্বীনের আওয়াজ বন্ধ করা যায়নি।’
‘তাদের রক্ত শুধু মিসর নয়, সারা পৃথিবীতে কথা বলছে। আমি সেই দ্বীনে হকের দায়িত্ব পালনের অপরাধে যে মৃত্যু, সেই মৃত্যুই কামনা করি’ যোগ করেন তিনি।
আল্লামা সাঈদী বলেন, ‘আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, যে অভিযোগে আমাকে ফাঁসির আদেশ দেয়া হয়েছে সুপ্রিমকোর্টে তা মিথ্যা প্রমাণিত হবে এবং আমি কোরআনের ময়দানে ফিরে যাব; ইনশাআল্লাহ।